LifeHacks

গরিব হল তারা, যাদের সব কিছু খুব বেশি বেশি দরকার। কারণ, যাদের সবকিছু খুব বেশি বেশি লাগে, তারা কখনোই জীবনের প্রতি সন্তুষ্ট হয় না। আই অ্যাম ফ্রুগাল, নট পুয়োর। আমি স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে চাই আর আমি সেভাবেই বেঁচে আছি। লিভিং ফ্রুগালি ইজ এ ফিলোসফি অব লাইফ, বাট আই অ্যাম নট পুয়োর।” -হোসে মুহিকা ( উরুগুয়ের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট)।

What is 3rd world?




🤔 তৃতীয় বিশ্ব বলতে আমরা কি বুঝি?
বাংলাদেশ কি তৃতীয় বিশ্বের দেশ? কেন এই ১ম,২য়,৩য়?

👉এই পরিভাষাটির সূচনা ঘটেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে, যখন বিশ্ব প্রধানত পুঁজিবাদ ও সাম্যবাদ এই দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই দুই ভাগের বাইরেও অবস্থান ছিল অনেক দেশের। সেগুলোকে সংজ্ঞায়িত করতেই প্রথম প্রয়োগ ঘটেছিল তৃতীয় বিশ্ব পরিভাষাটির। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মাধ্যমে স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির সাথে সাথে অবশ্য এই পরিভাষাটিরও ব্যবহার কমে গেছে, এবং বেশ ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে।তাহলে কেন এমন নামের প্রচলন ঘটে তা জানার জন্য জানতে হবে যে আসলে প্রথম বিশ্ব আর দ্বিতীয় বিশ্ব বলতে কাদের বোজানো হতো?
👉প্রথম বিশ্ব- বলতে বোঝানো হতো যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পুঁজিবাদী (তথাকথিত গণতান্ত্রিক) রাষ্ট্রসমূহকে। এই রাষ্ট্রসমূহ আবার ন্যাটোর (উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট) সদস্যও ছিল, পাশাপাশি ছিল শিল্পোন্নতও। প্রথম বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এবং জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো।

👉দ্বিতীয় বিশ্ব -দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হতো সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী-সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোকে। এরা ওয়ারশ চুক্তি করেছিল, এবং প্রথম বিশ্বের মতো এই দেশগুলোও ছিল শিল্পক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন, পূর্ব ইউরোপ, চীন, কিউবার মতো দেশগুলো।
✍️তাহলে বুঝতেই পারছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল না যে দেশগুলো, তারাই ছিল ৩য় বিশ্বের। এই দেশগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সরাসরি পুঁজিবাদ বা সাম্যবাদ কোনোটিকেই গ্রহণ করতে চায়নি, ফলে প্রথম বা দ্বিতীয় বিশ্বেও প্রবেশ করতে পারেনি তারা। আফ্রিকা, এশিয়া, ওশেনিয়া এবং লাতিন আমেরিকার অধিকাংশ স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশই ছিল এমন। এই দেশগুলো নিজেদের মধ্যে ন্যাম (জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন) গড়ে তোলে।
👉তৃতীয় বিশ্ব পরিভাষাটির প্রথম প্রয়োগ এবং সংজ্ঞায়নের পেছনে ভূমিকা ছিল ফরাসি জনতত্ত্ববিদ ও ইতিহাসবিদ আলফ্রেড সউভির। ১৯৫২ সালের ১৪ আগস্ট ফরাসি ম্যাগাজিন L'Observateur-এ তিনি এই পরিভাষাটি ব্যবহার করেন।
তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, এখন অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তৃতীয় বিশ্বকে বোঝানো হলেও, আদতে এর উদ্ভব ঘটেছিল রাজনৈতিক শ্রেণীবিন্যাস থেকে।তৃতীয় বিশ্ব পরিভাষাটির উৎপত্তি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ভিত্তিতে। এখানে অর্থনীতির সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল নাতবে যেহেতু শুরু থেকে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে তারা অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত, তাই বর্তমান সময়ে তৃতীয় বিশ্ব দ্বারা সেটিকেই বোঝানো হয় বেশি।
✍️অর্থাৎ প্রকৃত অর্থ এটি না হলেও, এতদিন আপনি যেটি জেনে এসেছেন এই পরিভাষার অর্থ হিসেবে, আসলেও এখন এটির প্রচলিত অর্থ এমনটিই দাঁড়িয়েছে। তবে যারা বেশি নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশে ইচ্ছুক, তারা শুধু 'তৃতীয় বিশ্ব' না বলে, 'তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ' কথাটিও বলে থাকে।
  • সংগৃহীত তথ্য।

কোন মন্তব্য নেই

if you have any doubt pls sms.

fpm থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.