LifeHacks

গরিব হল তারা, যাদের সব কিছু খুব বেশি বেশি দরকার। কারণ, যাদের সবকিছু খুব বেশি বেশি লাগে, তারা কখনোই জীবনের প্রতি সন্তুষ্ট হয় না। আই অ্যাম ফ্রুগাল, নট পুয়োর। আমি স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে চাই আর আমি সেভাবেই বেঁচে আছি। লিভিং ফ্রুগালি ইজ এ ফিলোসফি অব লাইফ, বাট আই অ্যাম নট পুয়োর।” -হোসে মুহিকা ( উরুগুয়ের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট)।

হাইয়া সোফিয়া-তুরকি/ইতিহাস




🤷 হাইয়া সোফিয়া 🤷
অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা কঠিন

ইস্তাম্বুলের ইতিহাসের সূচনা ৫৩৭ খ্রিস্টাব্দে যখন বাইজান্টাইন সম্রাট জাস্টিনিয়ান ইস্তাম্বুলের গোল্ডেন হর্ন নামে এক জায়গায় একটি বিশাল গির্জা তৈরির সিদ্ধান্ত নেন।
সে সময় বিশাল গম্বুজের এই গির্জাকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা এবং দালান বলে মনে করা হতো।
১২০৪ সালে ক্রসেডারদের হামলার ঘটনার পর থেকে কয়েক শতাব্দী ধরে হাইয়া সোফিয়া বাইজান্টাইনদের নিয়ন্ত্রণে ছিল।
অটোমান (ওসমান) বংশীয় সুলতান তৃতীয় মেহ্‌মেদ ১৪৫৩ সালে বাইজান্টাইন শাসকদের হাত থেকে ইস্তাম্বুল দখল করে নেন। তার আগ পর্যন্ত শহরটির নাম ছিল কনস্টান্টিনোপল।
ইস্তাম্বুল দখলের পর -
ওসমানি সাম্রাজ্যের তৎকালীন মুসলিম শাসক ফতেহ সুলতান মুহাম্মদ নিজ অর্থায়নে এটি খ্রীশ্চানদের থেকে ক্রয় করে মসজিদে রূপান্তরিত করেন।
মসজিদের চারপাশে চারটি মিনার তৈরি করেন।
গির্জার সব খ্রিস্টান প্রতিকৃতি এবং সোনালি মোজাইকগুলো কোরানের বাণী দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।
এর পরের কয়েকশো বছর ধরে হাইয়া সোফিয়া ছিল অটোমান মুসলমান সাম্রাজ্যের কেন্দ্রবিন্দু।
 পরে সুলতান হায়া সোফিয়াকে একটি ওয়াকফ সম্পত্তিতে রূপান্তর করেন এবং নিজের নামে ফাউন্ডেশন গঠন করে তার ওপর আয়া সোফিয়ার দায়িত্ব অর্পণ করেন। এরপর দীর্ঘ ৪৮২ বছর এটি মসজিদ হিসেবেই সমহিমায় বিরাজ করছিল।

১৯২৩ সালে কামাল পাশা তুরস্ক কেন্দ্রিক ওসমানি খেলাফতের বিলুপ্ত ঘোষণা করে সেকুলার শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করলেও তার শাসনামলেও এটি দীর্ঘ আট বছর মসজিদ হিসেবেই ব্যবহৃত হয়েছিল। জনরোষের ভয়ে ক্ষমতা গ্রহণের সাথে সাথেই তিনি মসজিদটিকে বন্ধ করতে বা জাদুঘরে রূপান্তরিত করতে সাহস পাননি। এজন্য তাকে দীর্ঘ আট বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ১৯৩৫ সালে এটি জাদুঘরে রূপান্তর করার আগে তৎকালীন সরকার ৪ বছর পর্যন্ত মসজিদটিকে বন্ধ করে রেখেছিল।
🤷
 পশ্চিমা ও তাদের প্রভাবিত মিডিয়াগুলোতে বর্তমানে  একটি প্রপাগান্ড খুব জোরে-সোরে চলছে, বলা হচ্ছে, তিনি নাকি হায়া সোফিয়া জাদুঘরকে মসজিদে রূপান্তর করেছেন। অথচ শত শত বছর আগে থেকেই এটি মসজিদই ছিল,
 ১৯৩৫ সালেও মসজিদটিকে গীর্জায় রূপান্তরের দাবি উঠলেও যেহেতু  মুসলিম শাসক ফতেহ সুলতান মুহাম্মদ নিজ অর্থায়নে এটি খ্রীশ্চানদের থেকে ক্রয় করেছিলেন তাই মসজিদটিকে গীর্জায় রূপান্তরের দাবি ধোপে টেকেনি। কিন্তু তথাকথিত ধর্মনিরপেক্ষ সরকার ঐতিহাসিক এই মসজিদটিকে জাদুঘরে রূপান্তরিত করে। অবশেষে তুরস্কের আধুনিক সুলতান এরদোয়ান আবার হায়া মসজিদকে তার স্বমহিমায় নিয়ে গিয়ে তার পূর্বসুরির কলঙ্ক কিছুটা হলেও মোচন করতে সক্ষম হন।

কোন মন্তব্য নেই

if you have any doubt pls sms.

fpm থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.