LifeHacks

গরিব হল তারা, যাদের সব কিছু খুব বেশি বেশি দরকার। কারণ, যাদের সবকিছু খুব বেশি বেশি লাগে, তারা কখনোই জীবনের প্রতি সন্তুষ্ট হয় না। আই অ্যাম ফ্রুগাল, নট পুয়োর। আমি স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকতে চাই আর আমি সেভাবেই বেঁচে আছি। লিভিং ফ্রুগালি ইজ এ ফিলোসফি অব লাইফ, বাট আই অ্যাম নট পুয়োর।” -হোসে মুহিকা ( উরুগুয়ের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট)।

দুই বন্ধু দেশের মধ্যে সীমান্তে কেন কাঁটাতারের বেড়া

 

দুই বন্ধু দেশের মধ্যে সীমান্তে কেন কাঁটাতারের বেড়া?
পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি শহরের অদূরেই ফুলবাড়ি-বাংলাবান্ধা আন্তর্জাতিক সীমান্ত চেকপোস্ট, আর তার বাঁদিকে কাঁটাতারের বেড়ার পাশ ঘেঁষে চলে গেছে 'বর্ডার রোড'।
রাস্তার পাশেই তিন স্তর-বিশিষ্ট কাঁটাতারের বেড়া, প্রায় আট ফিট উঁচু সেই দেওয়াল টপকানো একরকম অসম্ভব।কয়েকশো গজ পর পর রাস্তার পাশে বিএসএফের নজরদারি পোস্ট, বন্দুকধারী জওয়ানরা সেখানে চব্বিশ ঘন্টার পাহারায়।


দুই বন্ধু দেশের মধ্যে সীমান্তে কেন কাঁটাতারের বেড়া?৪ হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ এই বেড়ায় ভারতের কি লাভ হলো।



বস্তুত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যে সুদীর্ঘ চার হাজার কিলোমিটারেরও বেশি স্থল-সীমান্ত, তার প্রায় পুরোটা জুড়েই এই ধরনের কাঁটাতারের বেড়া বসানোর কাজ সেরে ফেলেছে ভারত

দক্ষিণ এশিয়ায় ভুটান বা নেপালের মতো ভারতের আরও যে সব মিত্র দেশ আছে, তাদের সীমান্তে এধরনের কোনও বেড়া না-থাকলেও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের চরিত্রই পুরোপুরি বদলে দিয়েছে এই কাঁটাতারের বেড়া।

কিন্তু সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে এই বেড়া? চোরাকারবার কি এতে কমছে? দুপারের মানুষের যোগাযোগে কি বাধার দেওয়াল তৈরি হচ্ছে?
বাংলাদেশই বা এই কাঁটাতারের বেড়াকে কী চোখে দেখেন।

"তাতে মুভমেন্টে সুবিধা হবে, দূরত্ব কমবে, চোরাকারবারের বদলে বৈধ বাণিজ্যও বাড়ানো যাবে।"

কাঁটাতারের বেড়ায় অবশ্য বাংলাদেশের একরকম শাপে বর হয়েছে - যেমন গরু চোরাচালান কমায় বাংলাদেশের খামারিরা এখন উৎপাদনে স্বনির্ভর হয়ে উঠছেন।

এমন কী কোরবানির ঈদের আগেও ভারতীয় গরুর চাহিদা তেমন ছিল না। তবে তার পরেও ভারত সীমান্তে এই ধরনের প্রাচীর তারাও দেখতে চান না।

দিল্লিতে বাংলাদেশের হাই কমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলি বিবিসি বাংলাকে এই কাঁটাতারের বেড়া প্রসঙ্গে বলছিলেন, "একদিকে তো আমাদের জন্য ভালই হয়েছে, ভারতের গরু না-আসায় আমরা স্বাবলম্বী হতে পারলাম।"

"অনুপ্রবেশ নিয়েও অনেক কথা ভারত বলেছি, তবে সাম্প্রতিক নানা ডেটায় এখন প্রমাণিত বাংলাদেশ থেকে ভারতে এখন অনুপ্রবেশ ঘটার কোনও কারণ নেই।"

"ফলে যে সব কারণে ভারত কাঁটাতার চেয়েছিল, সেই কারণগুলো না-থাকলে কাঁটাতারের বেড়াও অপ্রাসঙ্গিক।"
"আর আমাদের অবস্থান জিজ্ঞেস করলে আমি তো বলব বাংলাদেশ সেদিনও কাঁটাতারের বেড়া চায়নি, আজও চায় না।"
"বস্তুত দুটো বন্ধু দেশের মধ্যে সীমান্তে এধরনের বেড়া থাকার কোনও প্রয়োজন নেই বলেই আমার বিশ্বাস!" বলছিলেন বাংলাদেশী রাষ্ট্রদূত।
তার পরেও দুই বন্ধু দেশের সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়াই এখন দৈনন্দিন জীবনের বাস্তবতা, যা হয়তো অচিরে বদলাবেও না।

if you wish to follow me on face book page click -here.

কোন মন্তব্য নেই

if you have any doubt pls sms.

fpm থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.